Travel Squad
Jaflong Sylhet Bangladesh | জাফলং জিরো পয়েন্ট | Jaflong Sylhet | জাফলং সিলেট| জাফলং সিলেট যান্ত্রিক কোলাহল ছেড়ে একটু প্রশান্তির জন্য সিলেটে অনেকেই আসেন, আর সিলেট ভ্রমনে এসে জাফলং না গেলে ভ্রমনই যেন অপূর্ণ থেকে যায়। সিলেটে প্রথমেই আপনার নজর কাড়বে সিলেটের বাসটার্মিনাল আধুনিক সকল সুব্যবস্থা সহ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।যেখানে আপনি চাইলে রেস্ট নিতে পারবেন। আট একর জমিএ উপর।সিলেটের ঐতিহ্যকে ধারণ করে নগরীর কদমতলী এলাকায় নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাস টার্মিনাল সিলেট বাস টার্মিনাল টু পানসী রেস্টুরেন্ট : আমরা একটা সিএনজি ২০০ টাকায় ভাড়া করে, পথের মধ্যে আমরা সুরমা নদী,ক্বীন ব্রীজ, আলী আমজাদের ঘড়ি,চাদনীঘাট এর সিড়িঁ দেখে পানসী রেস্টুরেন্টে পৌছাই। সুরমা নদী : সিলেটকে সুরমা নদী মায়ের মত জড়িয়ে রেখেছে। এই নদীর কারনে গড়ে উঠেছে গ্রাম, গ্রাম থেকে জনপদ, লোকালয় ও শহর বন্দর। নদীগুলোর কারনে এই অঞ্চল শিল্প বানিজ্যালয়ে সমৃদ্ধি লাভ করেছে। ক্বীন ব্রীজ: সিলেট নগরীর প্রবেশ দ্বার হচ্ছে ক্বীন ব্রীজ। সুরমা নদীর উপর স্থিও ভাবে দাড়িয়ে থাকা এই ব্রীজটির রয়েছে ইতিহাস। গত শতকের তিরিশ দশকের দিকে আসাম প্রদেশের গর্ভর্নর ছিলেন মাইকেল ক্বীন। তিনি তখন সিলেট সফরে আসেন। তার স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতেই এ ব্রীজটি নির্মাাণ হয়। চাদনীঘাট এর সিড়িঁ: সিলেটে সুরমার তীরে রয়েছে পুরোনো নির্দশন চাদঁনীঘাটের সিঁড়ি। আলী আমজাদের ঘড়ি: চাদনী ঘাট ও ক্বীন ব্রীজের পাশেই শোভা পাচ্ছে আলী আমজাদের ঘড়িঘর। পৃথ্বিমপাশার বিখ্যাত জমিদার আলী আমজাদ দিল্লীর চাদঁনীচকে শাহজাদী জাহানারার স্থাপিত ঘড়িঘর দেখে মুগ্ধ হন। তিনিও ইচ্ছা পুরণ করেন চাদঁনীচকে দেখা ঘড়িঘরের অনুকরণে সুরমা নদীর তীরে চাদঁনী ঘাটের কাছে একটি ঘড়িঘর তৈরী করে। সবার নিকট যা ‘আলী আমজাদের ঘড়ি’ বলে পরিচিত। সিলেট টু জাফলং : সিলেট থেকে জাফলং এর দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। সিলেট থেকে সরাসরি জাফলং যেতে সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা। বাস, সিএনজি, লেগুনা কিংবা মাইক্রোবাসে জাফলং যেতে পারবেন। জাফলংগামী বাস ছাড়ে কদমতলী থেকে। লোকাল বাস ভাড়া জনপ্রতি ৭০ টাকা এবং গেইটলক বিরতীহীন বাস ভাড়া ১০০ টাকা। আপনার সুবিধামত চাইলে সিলেট শহরের সোবহানীঘাট থেকেও বাসে উঠতে পারবেন। বাস ছাড়াও জাফলং যাওয়ার লোকাল লেগুনা সার্ভিস রয়েছে। আমরা সি এন জি তে যাই যার ভাড়া রেখেছিলো আনুমানিক ৮০০ টাকা। The War Jainta Resort : আমরা জাফলং এই রিসোর্টটি এক দিনের জন্য নেই। ডাবল বেড ভাড়া ৩৪০০ টাকা ছিলো। খুব সুন্দর পরিবেশ,তাদের আপ্যায়নও অনেক ভালো।আপনি রিসোর্টে ভালো সময় কাটাতে পারবেন।কিন্তু আমরা খাবার টা বাইরে থেকেই খেয়েছি।এখানে খাবারের দাম একটু বেশি। জাফলং- সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত।প্রকৃতি কন্যা হিসাবে সারাদেশে এক নামে পরিচিত। সিলেটের জাফলং সীমান্তের ওপারে ইনডিয়ান পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরামধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেলপানি,উঁচু পাহাড়ে গহিন অরণ্য ও শুনশান নিরবতার কারণে এলাকাটি পর্যটকদেরদারুণভাবে মোহাবিষ্ট করে। এসব দৃশ্যপট দেখতে প্রতিদিনই দেশী-বিদেশীপর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। প্রকৃতি কন্যা ছাড়াও জাফলং বিউটি স্পট, পিকনিকস্পট, সৌন্দর্যের রাণী- এসব নামেও পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিত। ইতিহাসঘেঁটে জানা যায়, হাজার বছর ধরে জাফলং ছিল খাসিয়া জৈন্তা-রাজার অধীন নির্জনবনভূমি। ১৯৫৪ সালে জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পর খাসিয়া জৈন্তা রাজ্যেরঅবসান ঘটে। তারপরও বেশ কয়েক বছর জাফলংয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পতিত পড়ে রয়েছিল।ব্যবসায়ীরা পাথরের সন্ধানে নৌ পথে জাফলং আসতে শুরু করেন। 📍 অবস্থান: জাফলং, সিলেট, বাংলাদেশ 📅 ভ্রমণের সেরা সময়: অক্টোবর থেকে মার্চ 💬 আপনার মতামত শেয়ার করুন: আপনি কি জাফলং ভ্রমণ করেছেন? নিচে মন্তব্য করুন! 🔔 আরো অ্যাডভেঞ্চারের জন্য সাবস্ক্রাইব করুন: / @travelsquad321 👍 আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করুন: